ধন কুবেরের আত্মকাহিনী

avatar


আসলে গল্পটা শুরু করব কিভাবে বুঝতে পারছিলাম না। যাই হোক শেষমেশ লিখেই ফেললাম। আমাদের জীবনটা অদ্ভুত কখন কোন সময় কোন দিকে মোর নেই কেও বলতে পারে না। তবুও জীবন থেমে নেই চলছে আপন গতিতে। ঠিক যেন নদীর মত, নদীর যেমন কূল নেই কিনার নেই চলছে অবিরত। আজ যে গল্পটা বলব সেটা হচ্ছে নদীর মত "ভাঙা গড়ার গল্প"।

"ধন কুবের" হে ঠিকই শুনেছেন অটেল সম্পত্তির মালিক। যার কোন কিছুর অভাব নেই, সেই হচ্ছে "ধন কুবের"। গ্রমের নাম সুন্দরগড়, সবাই হইত ভাবছেন এটা আবার কেমন নাম, আসুন তাহলে জানা জাক এমন নামের নৈপত্যের কাহীনি। ধন কুবেরের জন্ম হয়েছে সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে। ধন কুবেরের বাবা ছিলেন খুবই বিচক্ষণ একজন লোক, সে সবসময় গ্রামের লোকজনকে নিয়ে ভাবতো। গ্রামের লোকজন তাকে সম্মান করত। সবাই সুখে শান্তিতে জীবনযাপন করছিল। কিন্তু সবকিছু হঠাতই নিমিষে শেষ হয়ে যায় যখন জমিদার পরিবারের ২য় সন্তান জন্মগ্রহণ করে। জমিদার বাড়ির প্রথম পুএ সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে গ্রামের সবাই এ খুশিতে উৎসব পালন করছে।

এই গ্রামের মেয়েদের চোখে অন্যরকম মায়া আছে, দূর দূরান্ত থেকে এখানে মেয়ে দেখতে এসেছে বহু জমিদার। এ গ্রামের খ্যাতি সবাই জানে। সে থেকেই এ গ্রামের নাম সুন্দরপুর নামেই বেশি পরিচিত। গ্রামের লোকজন প্রতিদিন রাতে পাহারা দিত যেন বাহিরের কেউ এ গ্রামে প্রবেশ করতে পারে।

দেখতে দেখতে ১৫ টি বছর পার হয়ে গেল। জমিদারের ছেলে আজ থেকে এ গ্রামের সবকিছু দেখাশোনা করবে। গ্রামের লোকজন জমিদারের ছেলেকে ভাল চখে দেখে না, এর পিছনে যথেষ্ট কারনও আছে। ছোটবেলা থেকে কুবেরের অনেক অহংকার। সে সবসময় গ্রামের লোকদের ছোট চোখে দেখত, তার কাছে অর্থ-সম্পদই সব। কুবের নানাভাবে গ্রামের লোকদের অপদস্থ করত, গ্রামের মেয়েদের উত্তক্ত করতো।

দিন দিন কুবেরের অত্যাচার বেরেই চলেছে। সে গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে, খাজনা না দিতে পারলে তাদের বাড়িঘর লুট করে। হঠাৎ একদিন সে গ্রামের এক মেয়েকে তুলে নিয়ে নিয়ে যায়। তিনদিন পর সে মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়ে যায়। এদিকে অন্য জমিদারদের সাথে হাত মিলায়। তারা কোন রকম বাধা ছাড়া এখানে এসে আনন্দ ফুরতি করত। এসব নিয়ে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে যায়। তারা সিদ্ধান্ত নেই তারা তাদের আগের জমিদারের সাথে দেখা করবে কিন্তু ব্যর্থ হয়।

এদিকে কুবের ক্রমশ অনেক ধন-সম্পত্তির মালিক হয়ে যায়। গ্রামের মানুষ ঠিক করে যেভাবেই হোক এটা বন্ধ করতে হবে। সবাই মিলে জমিদার বাড়ি হামলা করার সিদ্ধান্ত নেই। এ খবর পেয়ে সব ধন-সম্পদ নিয়ে কুবের পালিয়ে যায়। গ্রামের লোকজন এসে হন্য হয়ে কুবের কে খোজে, পরে জমিদার বাড়ি পুরিয়ে দেই। ধন কুবের তার সকল ধন নিয়ে বহুদূরে একটি গ্রামে আশ্রয় নেই।

সেখানে সে প্রচুর আনন্দেই দিন কাটাতে থাকে। একদিন হঠাৎ সে এক বাইজির প্রেমে পরে যাই। বাইজি জানতো যে কুবেরের অনেক ধন-সম্পদ আছে, তাই সে কুবেরকে তার প্রতি আকৃষ্ট করে। কুবেরও তাকে বিশ্বাস করে। একিদন বাইজি কুবেরের সব সম্পদ নিয়ে পালিয়ে যায়। এভাবেই ধন কুবেরের অহংকার তাকে সর্বশান্ত করেছে।

জীবনে টাকাই সব কিছু নই, জীবনে শিক্ষাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। টাকা আসবে যাবে শুধুমাএ শিক্ষাই আমাদের আজীবন কাজে লাগবে।



0
0
0.000
6 comments
avatar

অসৎ উপায়ে উপার্জিত অর্থ,
যেভাবে আসে সেভাবেই আবার চলে যায়।

0
0
0.000
avatar

জালিমের শেষ পরিনতি এমনেই হয়।

0
0
0.000
avatar

হে ঠিক বলেছেন। যালিমরা বেশিদিন টিকে থাকে না।

0
0
0.000
avatar

যুগে যুগে এমন অনেক প্রমাণ রয়েছে। আমাদের ধর্মগ্রন্থেও এমন বহু নিদর্শন রয়েছে।

0
0
0.000